মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগরা ইউনিয়নে অবস্থিত মুক্তি সংগ্রাম যাদুঘর। জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিতব্য যাদুঘরটি জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণের জায়গা হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জামালপুর একটি অন্যতম অধ্যায়। যুদ্ধকালীন সময়ে সারাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। জামালপুরকে ১১ নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১১ সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে কর্ণেল তাহের ও জেনারেল জিয়াউর রহমান। উইং কমান্ডার বিডি হামিদুল্লাহ খান উপ-সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। এ জেলায় ৫০০০ জন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন । এতে ৮১ জন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ বরণ করেন, শহীদ হন প্রায় ১৪০ জন এবং প্রায় ৫০০ জন নিরীহ লোককে গণহত্যার শিকার হতে হয়েছে। তাছাড়া ৩০০ জন মহিলাকে নির্যাতন করা হয়। বেশীরভাগ যুদ্ধ সংগঠিত হয় ধানুয়া কামালপুর, নারায়নখোলা এবং সরিষাবাড়ীতে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকের লাশই পাওয়া যায়নি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস